পাশের পাড়ার মেয়েটি

আমি জানি না, আমি সম্পূর্ণ নিস্পৃহ, নিরপেক্ষভাবে এই বইয়ের সম্বন্ধে কিছু লিখতে পারব কিনা, হয় তো আমি বায়াসড হয়ে যাব, রাজেশ আর নূপুরের প্রতি, সেইজন্য বইটা শেষ করে ফেলার পরেও অন্তত দুই তিন চার সপ্তাহ আমি এটা নিয়ে লেখার সাহস করি নি। কিন্তু আর পারলাম না। এটা নিয়ে লিখতে না পারলে আমি শান্তি পাচ্ছি না। আমাকে সত্যি সত্যি আজও, বই শেষ করার দুই-আড়াই সপ্তাহ পরেও, আজও প্রায় প্রতিদিন ঘুমের মধ্যে জাগিয়ে তুলছে বইটা, কেমন একটা আতঙ্ক জাগিয়ে তুলছে মনের মধ্যে। কী বলা যায় এটাকে, মিসক্যারেজ অফ জাস্টিস নাকি ডিনায়াল অফ জাস্টিস, আমার জানা নেই। আসলে এই বইটা শুধু আরুষির হত্যাকাণ্ডের ওপর তো নয়, এটা প্রচণ্ড প্রকটভাবে দেখিয়েছে এই মামলাটাকে ঘিরে – ভারতীয় আইনব্যবস্থা, ইন্ডিয়ান জুডিশিয়ারি কতদূর নীচ, কতটা নির্মম হতে পারে; একটা আপাত-সুখী, সফল পরিবার একেবারে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত তছনছ হয়ে যেতে পারে একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে, দোষী হিসেবে যারা হয় তো অভিযুক্ত হতেও পারত, তারা স্রেফ সঠিক সময়ে চার্জশীট পেশ না হবার কারণে মুক্তি পেয়ে গায়েব হয়ে গেল, আর দোষী সাব্যস্ত হয়ে গেল এমন দুজন, যারা হয় তো অপরাধের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত ছিল না। … More পাশের পাড়ার মেয়েটি